উদ্ধারকৃত অজগরটির লম্বায় সাড়ে ১৭ ফুট, ওজন ২৭ কেজি। পরে সন্ধ্যার আগে রাজাকুল বোটানিক্যাল গার্ডেনে অবমুক্ত করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজার জেলা দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) সরোয়ার আলম বলেন, মঙ্গলবার সকালে উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালী লোকালয়ে স্থানীয় লোকজন অজগরটি দেখতে পায়। পরে তারা বন বিভাগের খবর দিলে উখিয়া বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী শফিউল আলমের নেতৃত্বে বনরক্ষা সহব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যরা মিলে অজগরটি ওই স্থান থেকে উদ্ধার করে উখিয়া কার্যালয় নেওয়া হয়। সেখানে হেফাজতে রেখে খাবারের জন্য একটি মুরগি দেওয়া হয়। পরে রাজারকুল বোটানিক্যাল গার্ডেনে অবমুক্ত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা এবং তরুণ বন্যপ্রাণী গবেষক জোহরা মিলা জানান, নির্বিষ এই সাপটি নিশাচর ও খুবই অলস প্রকৃতির, প্রয়োজন ছাড়া খুব একটা নড়াচড়া করে না। এই প্রজাতিটি একাকী বাস করলেও শুধু প্রজননকালে জোড়া বাধে। সাধারণত মার্চ থেকে জুনের মধ্যে প্রজননকাল। দেশের ম্যানগ্রোভ বন, ঘাসযুক্ত জমি, চট্টগ্রাম ও সিলেটের চিরসবুজ পাহাড়ি বনে এদের দেখা পাওয়া যায়। সাপটি সাধারণত মানুষের ক্ষতি করে না। খাদ্য হিসেবে এরা সাধারণত ইঁদুর, মুরগি, শূকর, শিয়ালসহ ছোট থেকে বড় আকারের স্তন্যপায়ী প্রাণী, সরীসৃপ প্রাণী ইত্যাদি খেয়ে থাকে। এটি নিজের আকারের চেয়েও অনেক বড় প্রাণী খুব সহজেই গিলে খেতে পারে।
তিনি বলেন, চামড়ার জন্য সাপটি পাচারকারীদের লক্ষবস্তুতে পরিণত হয়েছে। ফলে আমাদের বনাঞ্চল থেকে এটি দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন-২০১২ এর তফসিল-২ অনুযায়ী এ বন্যপ্রাণীটি সংরক্ষিত, তাই এটি হত্যা বা এর যে কোনো ক্ষতি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।